Breaking
Loading latest news…

হামাসকে ট্রাম্পের চূড়ান্ত সতর্কতা – দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে সব চুক্তি বাতিল।


গাজা, Oct 05, 2025: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসকে গাজায় শান্তি চুক্তি মেনে নিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পেজে জানিয়েছেন, হামাসকে অবশ্যই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, অন্যথায় সব চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে।" তিনি কোনো বিলম্ব বা গাজা থেকে ইসরায়েলের জন্য কোনো হুমকির পরিস্থিতি মেনে নেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।

ট্রাম্পের এই কঠোর বার্তা এমন এক সময়ে এলো যখন তার জামাতা জারেড কুশনার এবং সিনিয়র দূত স্টিভ উইটকফ জিম্মি মুক্তি এবং শান্তি চুক্তির চূড়ান্ত বিশদ বিবরণ নিয়ে আলোচনার জন্য মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, "হামাসকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় সব চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে। আমি কোনো বিলম্ব মেনে নেব না, যা অনেকেই মনে করছেন ঘটবে, অথবা এমন কোনো পরিস্থিতি যেখানে গাজা আবারও হুমকি সৃষ্টি করবে।" তিনি আরও যোগ করেছেন, "চলুন, এটা দ্রুত সম্পন্ন করি।"

তিনি ইসরায়েলকে "সাময়িকভাবে বোমা হামলা বন্ধ করার" জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন, যাতে "জিম্মি মুক্তি এবং শান্তি চুক্তির একটি সুযোগ তৈরি হয়।" যদিও গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে যে ইসরায়েল রাতে গাজা সিটিতে কয়েক ডজন হামলা চালিয়েছে।

ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীটি শুক্রবার দুই বছরের যুদ্ধ অবসানের একটি পরিকল্পনার প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। তারা বলেছিল যে তারা সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি দিতে এবং চুক্তির বিশদ বিবরণ নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।

এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প ইসরায়েলকে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে অবিলম্বে বোমা হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, যদিও ওয়াশিংটনের প্রধান মিত্র ইসরায়েল শনিবার জানিয়েছে যে তাদের সেনারা এখনও গাজায় অভিযান চালাচ্ছে।

এর কয়েক ঘণ্টা পর, গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানায় যে ইসরায়েলি হামলায় ভোর থেকে অন্তত ৫৭ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৪০ জন শুধুমাত্র গাজা সিটিতেই নিহত হয়েছেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই উচ্চ পর্যায়ের প্রচেষ্টা এবং কঠোর হুঁশিয়ারি গাজা উপত্যকায় দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, হামাস ট্রাম্পের এই চূড়ান্ত সতর্কতার প্রতি কীভাবে সাড়া দেয় এবং এই অঞ্চলে শান্তি ফিরে আসে কিনা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ