জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (UNGA) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের বক্তৃতার পর, ভারত তার Right of Reply প্রয়োগ করে সন্ত্রাসবাদকে মহিমান্বিত করার পাকিস্তানের প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানায়। ভারতীয় প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
পেটাল গেহলট: ভারতের দৃঢ় কণ্ঠ
পেটাল গেহলট ভারতের স্থায়ী মিশনে প্রথম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৫ সালে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে (IFS) যোগদানের মাধ্যমে তার কূটনৈতিক কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি শ্রী রাম কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি একজন গায়িকা এবং গিটারিস্টও, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সঙ্গীত ভিডিও শেয়ার করেন।
শাহবাজ শরীফের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণ
তার ভাষণে, শাহবাজ শরীফ ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রশংসা করেন, পাকিস্তানকে "শান্তির প্রিয়" বলে অভিহিত করেন। তিনি ভারতকে "হিন্দুত্ব-অনুপ্রাণিত চরমপন্থার" জন্য অভিযুক্ত করেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাশ্মীর ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানান।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
পেটল গেহলট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে "অবাস্তব নাটক" বলে অভিহিত করেছেন, বলেছেন যে "কোনও নাটকই তথ্য গোপন করতে পারে না।" তিনি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদকে তার বিদেশ নীতির অংশ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন এবং বলেছেন যে পাকিস্তান যদি শান্তি চায়, তাহলে তাদের অবশ্যই তাদের সন্ত্রাসী পরিকাঠামো ভেঙে ফেলতে হবে এবং ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের ভারতের হাতে তুলে দিতে হবে। তিনি আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে পাকিস্তান এক দশক ধরে ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল এবং সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদে জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর হামলার জন্য দায়ী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে সমর্থন করেছে।
উপসংহার
পেটল গেহলটের প্রতিক্রিয়া স্পষ্টভাবে ভারতের কূটনৈতিক দৃঢ়তা এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি শূন্য-সহনশীলতা নীতির প্রতিফলন ঘটায়। তার মন্তব্য কেবল পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ-পন্থী নীতিগুলিকেই প্রকাশ করে না বরং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের দৃঢ় কণ্ঠস্বরকেও প্রতিষ্ঠিত করে।

0 মন্তব্যসমূহ